মঙ্গল গ্ৰহে জমি কিনে ফেললেন শ্রীরামপুরের যুবক : বাঙালীর কীর্তিতে গর্বিত

26th August 2020 8:38 pm হুগলী
মঙ্গল গ্ৰহে জমি কিনে ফেললেন শ্রীরামপুরের যুবক : বাঙালীর কীর্তিতে গর্বিত


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : প্রথম বাঙালি হিসাবে মঙ্গল গ্রহে জমি কিনে ফেললেন হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা সৌনক দাস। বুক ঠুকে বলছেন গর্বিত আমি বাঙালি। মানুষ চাঁদে গেছে শুনেছেন। মহাকাশ পাড়ি দিয়েছে তাও শুনেছেন। বাঙালি ফ্লাট কিনছে, বাড়ি করছে আকছার দেখছেন। কারো পছন্দ নদীর ধার তো কারো বা সমুদ্র, পাহাড়। কিন্তু এই রকম তো শুনিনি মশাই!জমি, তাও আবার মঙ্গলে। অক্ষয় কুমারের ছবি মিশন মঙ্গল অনেকেই দেখেছেন বলে আশা। আস্ত একটা জমি মঙ্গল গ্রহে কেউ কিনে ফেলতে পারেন? পারেন। এ সবে বাঙালির জুড়ি মেলা ভার। সেই কবে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ হিমালয় পর্বত চষে ফেলেছিলেন । শৈলেন্দ্র নারায়ন ঘোষাল শাস্ত্রী নর্মদা পরিক্রমা করেছিলেন, আর উমাপ্রশাদ মুখোপাধ্যায়ের হিমালয় ভ্রমণ তো গল্পকথা। হিমালয়ের হেন স্থান নেই স্যার আশুতোষের ছেলে দেখেননি। বাঙালির রক্তে ঘোরা আছে। আছে দেশভ্রমণ। আর সেটাই এবার করে দেখলেন হুগলি জেলার শ্রীরামপুরের বাসিন্দা শৌনক দাস। সদ্য বিবাহিত। লোকে বলছে মঙ্গলে সৌনক হানিমুন করবেন।শৌনকের নাম সহ একটা চিপ ইতিমধ্যেই নাসার রকেট চেপে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে রওনা হযেছে। বেসরকারি অফিসে কর্মরত শৌনক এক একর জমি কিনেছে। দাম পড়েছে মাত্র তিন হাজার। জমির দলিল , মঙ্গলের ঠিক কোথায় তার জমি আছে এবং জমির যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যেই তার হাতে এসে গেছে। জানা গেছে নাসা একটি সংস্থাকে দিয়ে এই জমি পাবার ব্যাবস্থা করেছিল। তাতেই অংশীদার হয়ে যায় শৌনক।২০২৪ সালে চাঁদে লোক পাঠাতে চায় নাসা। তারপর মঙ্গল গ্রহে। পুরুষ অভিযাত্রীর পাশাপাশি মহিলা অভিযাত্রীও থাকবেন। সমস্ত দিক দেখে এখন নকশা বানাতে ব্যাস্ত শৌনক। মঙ্গলের জমি কি হবে সে নিয়েও চিন্তিত লাগলো তাকে।তবে প্রথম বাঙালি হিসাবে মঙ্গল গ্রহে জমি কিনতে পেরে গর্বিত বলেই জানালেন সৌনক।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।